সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জে একটি পরিবারকে হামলা-মামলায় হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। নিরীহ সেই নারী জীবনরক্ষার জন্য অন্যত্র গিয়ে মুঠোফোনে মৃত্যুর হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন।
জানা যায়, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশে মৌলবাদী শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। ফেঞ্চুগঞ্জের বিশিষ্ট সামাজিক ব্যক্তিত্ব মাহবুবুল ইসলামের পরিবারের লোকজনকে হামলা-মামলা করে হয়রানি করছে জামায়াতে ইসলামী ও হেফাজত ইসলাম সংগঠনের নেতারা।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শিক্ষানুরাগী, সমাজসেবক, বিভিন্ন মসজিদ মাদ্রাসার মন্দির গীর্জা সর্বদা যার অনুদানে সার্বিক সহযোগিতা ও সকল ধর্মীয় উপাসনালয়ের বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অনুদান প্রদান করেন মাহবুবুল ইসলাম। তিনি সবসময় আর্থসামাজিক কাজে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন। এই ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার একজন গর্বিত সন্তান মাহবুবুল ইসলাম । তার এ সকল মানবসেবা দেখে মুসলিম উগ্রবাদী জনগোষ্ঠী যেমন জামায়াত ইসলাম ও হেফাজতে ইসলাম তাদের দোসর বিএনপি সহ আরও কিছু ইসলামি উগ্র সংগঠন তারা এ সব মেনে নিতে পারেনি । সে জন্য মাহবুবুল ইসলাম ও তার পরিবারের লোকজনকে মিথ্যা মামলায় হয়রানি করা হচ্ছে। এছাড়া মাহবুবুল ইসলামের পরিবারের লোকজনকে বিভিন্ন ভাবে নির্যাতন করা হচ্ছে। ঘরবাড়ি দখল করার লক্ষ্যে উপজেলা জামায়াতের আমীর নেতাকর্মীদের দিয়ে পাহারা দিচ্ছেন।
মাহবুবুল ইসলাম স্ত্রী ফেরদৌস ওয়াহিদ জানান, আমার স্বামী জীবনরক্ষার জন্য ২০২৪ সালের ১০ সেপ্টেম্বর দেশ ছেড়ে কানাডা চলে যান। তারপরও জামায়াতে ইসলামী, হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা আমাকে ও আমার সন্তানদের হত্যা করার জন্য বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিচ্ছে। আমার বাড়িঘর ছেড়ে ঢাকায় আমি আশ্রয় নিয়েছি এক আত্মীয়ের বাড়িতে। সেখানে আমার দেবররাও আত্মগোপনে রয়েছেন। আমাকে মুঠোফোন বিভিন্ন অপরিচিত নাম্বার থেকে কল দিয়ে আমি ও আমার বাচ্চাদেরকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। আইনের আশ্রয় চেয়েও আমরা পায়নি।