এ ছাড়া যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। তিনি যুক্তরাজ্যের নীতি গবেষণাপ্রতিষ্ঠান চ্যাথাম হাউস আয়োজিত এক সংলাপেও অংশ নেবেন।
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছিল তার এই সফরে দেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণে যুক্তরাজ্যের সমর্থনের বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব পাবে। এর পাশাপাশি পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার বিষয়টিতে প্রাধান্য দেবে বাংলাদেশ।
অন্যদিকে গণমাধ্যম ও বাংলাদেশ হাই কমিশনের সূত্রমতে ড. ইউনূসকে বিমান বন্দরে স্বাগত জানাতে বাংলাদেশ হাই কমিশন ছাড়া ব্রিটিশ সরকার বা রাজার কোনো প্রতিনিধি বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন না। প্রথা হচ্ছে কোনো রাষ্ট্রীয় অতিথি আসলে তাকে অভ্যর্থনা জানাতে সেই রাষ্ট্রের প্রতিনিধি কেউ উপস্থিত থাকেন। কিন্তু ড. মুহাম্মদ ইউনূসের জন্য কেউ ছিলেন না।
গতকাল মঙ্গলবার (৩০ জুন) বিকেলে হাই কমিশনে ব্রিটিশ বাংলাদেশি সাংবাদিকদের সঙ্গে ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ‘যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমার বর্তমানে কানাডা সফরে আছেন। এজন্য প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকের কোনো সূচি এখনো ঠিক হয়নি।’
গতকাল বিকাল সোয়া ৪টায় লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশন ভবনে সংবাদ সম্মেলনে একজন ব্রিটিশ এমপির বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছিলেন শফিকুল আলম। প্রধান উপদেষ্টা লন্ডনে অবস্থানকালে কিয়ার স্টারমার যুক্তরাজ্যে ফিরে এলে এবং তার শিডিউল (সূচি) পাওয়া গেলে বৈঠক হতে পারে বলেও জানান তিনি।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমার যুক্তরাজ্যে অবস্থান করছেন।
মুহাম্মদ ইউনূসের সাক্ষাৎ চেয়ে শেখ হাসিনার ভাগনি ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিকের চিঠির বিষয়টি ব্রিটিশ গণমাধ্যমসহ দেশে-বিদেশে ব্যাপক আলোচিত হয়। কিন্তু প্রেস সচিব তখন টিউলিপ সিদ্দিকের চিঠির বিষয়টি অস্বীকার করেন। কোনো চিঠি পাননি বলে জানান। কিন্তু গতকাল সাংবাদিকদদের কাছে সেই চিঠি হাতে পাওয়ার কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, ‘আমরা একটি চিঠি পেয়েছি।’
চিঠির জবাব দেওয়া হবে কিনা জানতে চাইলে প্রেস সচিব বলেন, ‘চিঠির বিষয়টি আইনি এবং এটি আইনিভাবে সমাধান করা হবে।’
প্রধান উপদেষ্টার যে সূচি জানা গেছে, সেখানে এখন পর্যন্ত যেসব সৌজন্য সাক্ষাত ও মিটিং করেছেন এবং করবেন এর একটিও সরকারি পর্যায়ে কোন বৈঠক নয়।