বেশি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। যা প্রবাসীদের মধ্যে অসন্তোষের জন্ম দিয়েছে। এতে করে অনেক প্রবাসী পরিবারসহ সিলেটে আসতে নিরুৎসাহিত হচ্ছেন।’
যুক্তরাজ্যের ইস্ট লন্ডনে থাকা সুনামগঞ্জের বাসিন্দা নাইমুর রহমান সিলেট ভয়েসকে বলেন, ‘আমি কিছুদিন আগে গ্রীষ্মকালীন ছুটিতে নিজ দেশে আসতে চেয়েছিলাম। সরাসরি সিলেট যায় একমাত্র বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স তবে ভাড়া অতিরিক্ত। আমাকে সিলেট নামলে দেখায় ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা এবং ঢাকায় নামলে সেটা ৮০ থেকে ৮৫ হাজার টাকা। এতো বৈষম্য কেন সিলেটিদের সাথে এটাই আমরা বুঝি না। এতে অতিরিক্ত দাম এবং খরচ বেড়ে যাওয়ায় এবার দেশে আসার পরিকল্পনাই বাদ দিয়ে দিয়েছি। এছাড়া এখানে যদি বহুজাতিক বিমান নামে তাহলে দামেও বিশাল পরিবর্তন আসবে সে দিকেও কেউ নজর দিচ্ছেন না, অথচ প্রবাসীরা বাংলাদেশের চালিকা একটা অন্যতম শক্তি।’
প্রবাসীদের দাবি দাওয়া নিয়ে কাজ করা প্রবাসী ওয়েলফেয়ার ফোরামের সভাপতি আহ্বায়ক ডক্টর এম এ মোশতাক বলেন, ‘ওসমানী বিমানবন্দর ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার মতো অবকাঠামো অর্জন করেছে। নতুন টার্মিনাল ভবন, ফুয়েলিং সুবিধা, শক্তিশালী বিদ্যুৎ সংযোগ, উন্নত কার্গো হ্যান্ডলিং সক্ষমতা ইত্যাদি সম্পন্ন হয়েছে। শুধু প্রয়োজন সরকারের সদিচ্ছা ও অনুমোদন। সিলেটে ভাড়ার অতিরিক্ত হওয়ার পেছনে যে সিন্ডিকেট কাজ করে তাদের শক্তভাবে দমন করতে হবে। কাতার, ইতিহাদ এয়ারওয়েজ, ব্রিটিশ এয়ারয়েজের মতো বিমানকে সিলেট ওসমানী বিমানবন্দরে নামাতে হবে, এতে করে প্রকৃতিকন্যা সিলেটের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটবে।’
সিলেটে কেন পণ্য খালাস হচ্ছে না সে বিষয়ে জানতে চাইলে কাস্টমের বিমানবন্দর ও এয়ারফ্রেইট বিভাগ অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা সহকারি পরিচালক ইনজামাম উল হক বলেন, এটি এখন আপাতত ঢাকায় হচ্ছে। তবে বাহিরে পণ্য আদান প্রদানে দায়িত্বে থাকা ব্যবসায়ী বা প্রবাসীরা যদি আবেদন করেন সে বিষয়ে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব এবং আমাদের পরিচালক মহোদয়ের কাছে সেটি তুলে ধরবো।’
সিলেটে বিমানের বহুজাতিক কোম্পানীর ফ্লাইট চালু প্রসঙ্গে ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক হাফিজ আহমদ বলেন, ‘আমার কাছে কোন কোম্পানী বলেনি সে সিলেটের এয়ারপোর্টে ফ্লাইট চালু করতে চায়। যদি কেউ ফ্লাইট নামতে চায় তাহলে অবশ্যই আমরা সেটি গ্রহণ করব। আমি নিজেও চাই ওসমানী বিমানবন্দরে বহুজাতিক ফ্লাইট চালু হোক।