সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি রিয়াজ উদ্দীন ইসকার বাড়িতে হামলা ও ভাংচুর করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিকালে উপজেলার মল্লিকপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা যুবলীগ, সেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সংঘবদ্ধভাবে এ হামলা করে প্রেসক্লাব সভাপতি ইসকা ও তাঁর ছেলে সাংবাদিক ইশতিয়াক জিন্দানী রিশাতকে এলাকা ছাড়ার হুমকি দেন। এ ঘটনার পর এলাকায় আতংক বিরাজ করছে।
এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা যায়, ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক দিদারুল আলম নিমু, উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক নাহিদ সুলতান পাশা, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজান আহমদ শাহ, জুনেদ আহমদ এর নেতৃত্বে ১৫/২০ জনের একটি সন্ত্রাসী বাহিনী রামদা, ছুরি, লোহার রড, লাঠি ইত্যাদি দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সাংবাদিকের বসতবাড়ীতে হামলা চালিয়ে শক্তির মহড়া প্রদর্শন করে এবং বাড়ির লোকজনদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করে বাসায় ব্যাপক ভাংচুর করে। এতে প্রায় ৩ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতিসাধিত হয়েছে। এছাড়াও সাংবাদিক বাবা-ছেলেকে বাড়িঘর তাদের নামে লিখে দিয়ে এলাকা ছাড়ার ৪৮ ঘন্টার আলটিমেটাম দিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের এই দখলদার বাহিনী।
এসময় সাংবাদিক ইসকা, রিশাতসহ তাদের পরিবারের লোকজন বাধা দিতে এগিয়ে আসলে তাদেরকেও মারপিট ও অস্ত্র উঁচিয়ে হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যায়। এ ঘটনায় রাতেই সাংবাদিক রিয়াজ উদ্দীন ইসকা বাদী হয়ে ফেঞ্চুগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দিতে চাইলে থানা পুলিশ অভিযোগ নেয়নি।
তরুণ সাংবাদিক ইশতিয়াক জিন্দানী রিশাত বলেন, আমাদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে যারা ভাংচুর করেছে তারা বিভিন্ন অপকর্ম করছিল। একজন সংবাদকর্মী হিসেবে আমি তাদের অপকর্ম বা তাদের অন্যায় কাজগুলো রিপোর্ট করেছি। সেই পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আমাদের বাড়িতে সন্ত্রাসী কায়দায় হামলা করে ভাংচুর করা হয়েছে এবং আমার বাবাকে শারীরিকভাবে আঘাত করা হয়েছে।
ফেঞ্চুগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি রিয়াজ উদ্দীন ইসকা বলেন, আমার বসতঘরে হামলা করে যারা ভাংচুর করেছে তারা সিলটে-৩ আসনের সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিবের অনুসারী। ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে তারা বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত ছিল। একজন সাংবাদিক হিসেবে আমার ছেলে রিশাত সে রিপোর্ট করেছে, সে তার দায়িত্ব পালন করেছে। কিন্তু এই সন্ত্রাসীরা আমার বাড়িতে এসে হামলা করে যেভাবে ভাংচুর করেছে, তা দেখে এলাকার মানুষ আতঙ্কিত হয়ে গেছে৷ থানায় অভিযোগ দিতে গিয়ে পুলিশ যখন জানলো তারা যুবলীগ-ছাত্রলীগের নেতাকর্মী, তাদের নাম শোনামাত্র পুলিশ অভিযোগ নিতে অস্বীকৃতি জানায়। দলীয় সন্ত্রাসীদের ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণে এলাকাবাসী এবং আমার পরিবার আতঙ্কিত ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
এ বিষয়ে জানতে ফেঞ্চুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী আতাউর রহমানকে মুঠোফোনে কল দিলে তিনি ঘটনার বিষয়টি প্রতিবেদক উল্লেখ করা মাত্র এ বিষয়ে কিছু বলতে পারবেন না বলে লাইন কেটে দেন।