সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জে সাংবাদিক ইশতিয়াক জিন্দানী রিশাতকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে দুর্বৃত্তের বিরুদ্ধে। গত রোববার সন্ধ্যায় ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার ইসলাম বাজার এলাকা থেকে তাকে সাদা পোশাকে কয়েকজন দুর্বৃত্ত তুলে নিয়ে যান। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
রিশাতের সহকর্মী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রোববার সন্ধ্যায় ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার মল্লিকপুর গ্রামের ইসলাম বাজারে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ট্রাক মার্কার সমর্থনে বিশাল জনসভা করেন ডা. ইহতেশানুল হক চৌধুরী দুলালের কর্মী-সমর্থকেরা। পেশাগত দায়িত্ব পালনে সেখানে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক রিশাত। এ সময় রিশাত একটি চায়ের দোকানে চা খেতে যান। প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে দোকান থেকে বের হতেই একদল সাদা পোশাকের লোক রিশাতের মুখ চেপে ধরে একটি মাইক্রোবাসে নিয়ে যায় তাকে।
সাংবাদিক রিশাত জানান, আমি কোনো কিছ বুঝার আগেই একজন আমাকে নির্দেশ দিল, তুমি যদি বেশি নড়াচড়া কর, আমি গুলি করে তোমার মাথার খুলি উড়িয়ে দেব। আমি ভয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়ি। কিছুক্ষণ পর যখন আমার জ্ঞান ফিরলো, আমি একটি বনে কুঁড়েঘরের পাশে গাড়িতে আমার হাত-পা বাঁধা অবস্থায় দেখতে পেলাম। তখন সাদা পোশাক পরা এক ব্যক্তি আমার হাত-পা খুলে আমাকে পালিয়ে যেতে বলে। আমি রাস্তায় একজনকে মিনতি করে তার ফোন দিয়ে আমার বন্ধু সাকিবুলকে ফোন করি, সে আমাকে এসে নিয়ে যায়।
রিশাত আরও বলেন, আমাকে মণিপুর চা বাগান এলাকায় একটি কুঁড়েঘরে নিয়ে রাখা হয়েছিল। রাত আনুমানিক ১১টার দিকে আমি সেখান থেকে পালিয়ে আসি।
কে বা কারা সাংবাদিক রিশাতকে অপহরণের চেষ্টা করেছিল, তা জানতে পুলিশ তৎপর রয়েছে বলে জানিয়েছেন ফেঞ্চুগঞ্জ থানার ওসি গাজী আতাউর রহমান। তিনি বলেন, আমরা খবর পেয়েছি সাংবাদিক রিশাতকে ইসলাম বাজার এলাকা থেকে জোর করে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়। অপহরণকারীরা সাদা পোশাকে থাকলেও তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কেউ না। কে বা কারা রিশাতকে তুলে নিয়ে গেছে সেটা তদন্তে কাজ করছে পুলিশের একটি টীম।
তিনি আরও বলেন, সাংবাদিকেরা সমাজের দর্পণ। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তারা সত্য তুলে ধরেন। পূর্ব শত্রুতার জেরে কেউ এ ঘটনা ঘটিয়েছে কিনা তা আমরা তদন্ত করে দেখবো। সাংবাদিক রিশাত এখন মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। তিনি স্বাভাবিক হলে আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করবো।