সিলেটে পালিয়ে বিয়ে করার কারণে প্রেমিকের ওপর হামলা করেছে প্রেমিকার পরিবারের লোকজন। ফিল্ম স্টাইলে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় প্রেমিক জীবন রক্ষা করে কোনো রকমে প্রাণে বেঁচে আত্মগোপনে গিয়েছেন। চিন্তা ও হতাশায় দিন কাটছে প্রেমিকের পরিবারের।
জানা যায়, মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর উপজেলার রুজেল আহমদের সঙ্গে সিলেট জেলার ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার পুরানগাঁও গ্রামে তানজিনা আক্তার লিজার সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক। পারিবারিক ভাব প্রেমিক রুজেল তানিজিনাকে বিয়ের প্রস্তাব দিলেও তানজিনার পরিবার তা মেনে নেই। এক পর্যায়ে রুজেল ও তানজিনা পালিয়ে গিয়ে শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) সিলেটে একটি কাজী অফিসে বিয়ে করেন। এরপর বিষয়টি মেনে নেয়নি তানজিনার পরিবার।
রোববার (২৫ ডিসেম্বর) ভোরে মৌলভীবাজার বাস স্ট্যান্ড এলাকায় তানজিনার আত্মীয় সুন্দর আলী তার দলবল নিয়ে রুজেলের ওপর হামলা করে। স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে প্রাণে বেঁচে যান রুজেল। পরে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় একটি গাড়িতে করে ঢাকা চলে যান রুজেল।
রুজেলের পরিবারের লোকজন জানান, হাবিবুর রহমান হাবিব এমপির সম্পর্কে ভাতিজি হন তানজিনা। সেই ক্ষোভে রুজেলের সম্পর্ক মেনে নেয়নি তানজিনার পরিবার। তানজিনার জীবন থেকে সরে যেতে হুমকি দেওয়া হয় রুজেলকে। কিন্তু রুজেল ভালোবাসার সম্পর্ক ছিন্ন না করে তানজিনাকে জীবনসঙ্গী করতে চান।
রুজেলের পিতা সাবির মিয়া বলেন, রুজেল ও তানজিনা একে অপরকে ভালোবাসে। তাদের মধ্যে দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক। আমরা রুজেলের বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে গেলে তানজিনার বাবা ও চাচারা তা মেনে নেননি। তারপর রুজেল ও তানজিনা পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করেন। কিন্তু বিয়ের পরদিন আমার ছেলের ওপর হামলা করা হয়। আমার ছেলের আমরা কোনো যোগাযোগ করতে পারছি না। এমপি হাবিব বিভিন্ন সময় আমার ছেলেকে তার ক্ষমতার প্রভাব দেখিয়ে হুমকি দেন। আমার ছেলেকে বিভিন্ন সময় প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে তানজিনার পরবিার।
এ বিষয়ে তানজিনা ও তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তারা কিছু বলতে চাননি। কিন্তু তানজিনা জানিয়েছেন, শরিয়া ও আইন মোতাবেক তানজিনার সঙ্গে রুজেলের বিয়ে হয়েছে।
এ বিষয়ে রুজেলের পিতা সাবির মিয়া বলেন, আমরা আইনের আশ্রয় নিতে চাইলেও এমপি হাবিব প্রভাবে থানা পুলিশ নীরব ভূমিকা পালন করে। আমরা আমাদের ছেলেকে হারাতে চাই না। জানি না, সন্ত্রাসী সুন্দর আলী ও এমপি হাবিবের লোকজন আমার ছেলেকে মেরে কোথাও ফেলে রেখেছে কিনা।